০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে অভাবের তাড়নায় গৃহবধূর আত্মহত্যা।

  • নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৬:২৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২
  • ১০৯৩

নোয়াখালীতে অভাবের তাড়নায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি‎

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূ শিরিন আক্তার (২২) উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের কেন্জাখালী গ্রামের সহিদুলের স্ত্রী এবং ওই গ্রামের বাহার উদ্দিনের মেয়ে।

গতকাল রোববার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের বাবার বাড়িতে আত্মহত্যা করে ওই গৃহবধূ।

এসআই মাসুদ আলম ও স্থানীয়রা জানায়, ৮ বছর আগে ঢাকা মানিকগঞ্জের সিংগাইর এলাকার দিনমজুর সহিদুলের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় শিরিনের। দুই সন্তানের জননী শিরিন বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়িতে থাকত। তাদের অভাবের সংসার।  তাঁর স্বামী চট্রগ্রামের একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। কয়েক দিন আগে স্বামীর কাছে মুঠোফোনে সংসারের খরচের টাকা চায় শিরিন। তখন স্বামী তাকে  জানায় আমার কাছে টাকা নেই। দুই দিন অপেক্ষা কর।  দুই দিন পরে টাকা দেব। একপর্যায়ে অভাবের তাড়নায় রাগের বসবতি হয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরে বাড়ির লোকজন একা ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছোট দুই শিশুকে কাঁদতে দেখে ঘরে গিয়ে দেখে শিরিনের মরদেহ ঝুলছে।

হাতিয়ার জাহাজমারা তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আলম পাটোয়ারী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।

নোয়াখালীতে অভাবের তাড়নায় গৃহবধূর আত্মহত্যা।

আপডেট: ০৬:২৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২

নোয়াখালীতে অভাবের তাড়নায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি‎

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূ শিরিন আক্তার (২২) উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের কেন্জাখালী গ্রামের সহিদুলের স্ত্রী এবং ওই গ্রামের বাহার উদ্দিনের মেয়ে।

গতকাল রোববার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের বাবার বাড়িতে আত্মহত্যা করে ওই গৃহবধূ।

এসআই মাসুদ আলম ও স্থানীয়রা জানায়, ৮ বছর আগে ঢাকা মানিকগঞ্জের সিংগাইর এলাকার দিনমজুর সহিদুলের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় শিরিনের। দুই সন্তানের জননী শিরিন বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়িতে থাকত। তাদের অভাবের সংসার।  তাঁর স্বামী চট্রগ্রামের একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। কয়েক দিন আগে স্বামীর কাছে মুঠোফোনে সংসারের খরচের টাকা চায় শিরিন। তখন স্বামী তাকে  জানায় আমার কাছে টাকা নেই। দুই দিন অপেক্ষা কর।  দুই দিন পরে টাকা দেব। একপর্যায়ে অভাবের তাড়নায় রাগের বসবতি হয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরে বাড়ির লোকজন একা ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছোট দুই শিশুকে কাঁদতে দেখে ঘরে গিয়ে দেখে শিরিনের মরদেহ ঝুলছে।

হাতিয়ার জাহাজমারা তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আলম পাটোয়ারী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।