০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যমজ দুই বোনের সঙ্গে যমজ দুই ভাইয়ের বিয়ে, দেখতে জনতার ঢল।

  • নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৩:১৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৫৪৩

পাবনার ঈশ্বরদীতে যমজ দুই বোনের সঙ্গে যমজ দুই ভাইয়ের ব্যতিক্রম বিয়ের আয়োজন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। একই সময়ে তাদের বিয়ে দেখতে বিয়েবাড়িতে ব্যাপক উৎসুক জনতার ঢল নামে।

 

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের দরিনারিচা এলাকার কনের বাবার বাড়িতে ব্যতিক্রমী এই বিয়ে আয়োজন করা হয়। কয়েক শ অতিথির সম্মুখে প্রত্যেকের সাড়ে তিন লাখ টাকার দেনমোহরে তাদের বিয়ের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়।

 

বররা হলেন- নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর সেকেন্দার আলী মণ্ডলের ছেলে সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদ। কনেরা হলেন- ঈশ্বরদীর কাপড় ব্যবসায়ী মো. কুদ্দুস খানের মেয়ে মোছা. সাদিয়া ও মোছা. নাদিয়া। সেলিম ও সুলতান বেসরকারি কম্পানিতে কর্মরত এবং সাদিয়া ও নাদিয়া একটি কলেজের শিক্ষার্থী।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যাপক জমকালোভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যমজ বিয়ের খবর শুনে কৌতূহলী মানুষের ঢল নামে। এর আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের গায়েহলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

 

কনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কনের বাবা কুদ্দুস আলী ও মা শিল্পী খাতুনের ইচ্ছা ছিল যমজ মেয়েদের একসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বিয়ে দেবেন। কিন্তু একসঙ্গে যমজ ছেলে পেয়ে যাবেন, তেমনটা তিনি ভাবেননি। এমন বর পাওয়ায় তাঁরা অনেক খুশি।

 

কনের বাবা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সম্প্রতি তাঁর কাপড়ের দোকানে একজন ক্রেতা আসেন। এ সময় যমজ দুই বোনকে দেখে তাঁর ভীষণ পছন্দ হয়। পরে ওই ক্রেতার মাধ্যমে যমজ পাত্রের সন্ধান পান তিনি। খোঁজখবর নিয়ে পাত্রের পরিবারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। একপর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়।

 

বরের বাবা সেকেন্দার আলী জানান, বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই তারা খুশির সঙ্গে তা গ্রহণ করেন। প্রথমে ছেলের মা শুনেই রাজি হয়ে যান। ছেলেদের জানালে তারাও সম্মতি দেন। এর পরই বর ও কনে উভয় পক্ষ আলোচনা করে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

যমজ দুই বোনের সঙ্গে যমজ দুই ভাইয়ের বিয়ে, দেখতে জনতার ঢল।

আপডেট: ০৩:১৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

পাবনার ঈশ্বরদীতে যমজ দুই বোনের সঙ্গে যমজ দুই ভাইয়ের ব্যতিক্রম বিয়ের আয়োজন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। একই সময়ে তাদের বিয়ে দেখতে বিয়েবাড়িতে ব্যাপক উৎসুক জনতার ঢল নামে।

 

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের দরিনারিচা এলাকার কনের বাবার বাড়িতে ব্যতিক্রমী এই বিয়ে আয়োজন করা হয়। কয়েক শ অতিথির সম্মুখে প্রত্যেকের সাড়ে তিন লাখ টাকার দেনমোহরে তাদের বিয়ের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়।

 

বররা হলেন- নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর সেকেন্দার আলী মণ্ডলের ছেলে সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদ। কনেরা হলেন- ঈশ্বরদীর কাপড় ব্যবসায়ী মো. কুদ্দুস খানের মেয়ে মোছা. সাদিয়া ও মোছা. নাদিয়া। সেলিম ও সুলতান বেসরকারি কম্পানিতে কর্মরত এবং সাদিয়া ও নাদিয়া একটি কলেজের শিক্ষার্থী।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যাপক জমকালোভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যমজ বিয়ের খবর শুনে কৌতূহলী মানুষের ঢল নামে। এর আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের গায়েহলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

 

কনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কনের বাবা কুদ্দুস আলী ও মা শিল্পী খাতুনের ইচ্ছা ছিল যমজ মেয়েদের একসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বিয়ে দেবেন। কিন্তু একসঙ্গে যমজ ছেলে পেয়ে যাবেন, তেমনটা তিনি ভাবেননি। এমন বর পাওয়ায় তাঁরা অনেক খুশি।

 

কনের বাবা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সম্প্রতি তাঁর কাপড়ের দোকানে একজন ক্রেতা আসেন। এ সময় যমজ দুই বোনকে দেখে তাঁর ভীষণ পছন্দ হয়। পরে ওই ক্রেতার মাধ্যমে যমজ পাত্রের সন্ধান পান তিনি। খোঁজখবর নিয়ে পাত্রের পরিবারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। একপর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়।

 

বরের বাবা সেকেন্দার আলী জানান, বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই তারা খুশির সঙ্গে তা গ্রহণ করেন। প্রথমে ছেলের মা শুনেই রাজি হয়ে যান। ছেলেদের জানালে তারাও সম্মতি দেন। এর পরই বর ও কনে উভয় পক্ষ আলোচনা করে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।