চাটখিল প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার ১নং সাহাপুর ইউনিয়নে সাহাপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাইনবোর্ড ভেঙ্গে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ ফরিদ ও প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপনের নেতৃত্বে, এ কাজ হয়েছে বলে বাজারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শত বৎসর বয়সী সাহাপুর বাজারের এই মসজিদটি। পুরানো কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাইতুল আমান জামে মসজিদ নামেই পরিচিতি ছিল। বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকার গন্যমান্য লোকদের নিয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটি করা হতো।
গত কয়েক বছর যাবৎ সাহাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোরসেদ আলম স্বপন ও কমিটির লোকজন, মসজিদটি দখল করার জন্য নানান রকম পাঁয়তারা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্কুল কমিটি সভাপতি মসজিদ কমিটির সভাপতির পদটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছিল।
নানারকম দুর্নীতি ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত সাহাপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপনের ইন্ধনে, মসজিদের সাইনবোর্ড ভেঙ্গে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপন ও স্কুল বিতর্কিত স্কুল কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদের নেতৃত্বে কিছু ছাত্ররা এসে এ ঘটনাটি ঘটায়।
বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ খোকন ও চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসাকে
অবহিত করা হয়।
নির্বাহী কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে ডেকে কাগজপত্র দেখে। এতে দেখা যায় মসজিদের নামে ৮শতাংশ জায়গার খতিয়ান রয়েছে। স্কুল কমিটি স্কুলের পক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এদিকে সাহাপুর হাই স্কুলের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বিভিন্ন রকম জবর দখলের ঘটনার মধ্যে, এবার যোগ হয়েছে সাহাপুর বাজার ভূমি অফিসের পুকুর দখলের ঘটনা। সাহাপুর বাজারের ভূমি অফিসের পুকুরটি, মসজিদ কমিটি দেখাশুনা করেছিল। পুকুরের মাছ চাষের লভ্যাংশ মসজিদের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হতো।
গত ১৫/১৬ বছর যাবৎ স্কুল কমিটির লোকজনের পুকুর দখল করে আছ।
সাহাপুর হাই স্কুলের বিভিন্ন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও জবর দখল নিয়ে আসছে একটি বিশেষ প্রতিবেদন।