০৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু বলার দরকার নেই, জয় বাংলা বলবেন’ একরামের ভিডিও ভাইরাল।

  • নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১১:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • ১২৬১

নোয়াখালী প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু বলার দরকার নেই, জয় বাংলা বলবেন’— নোয়াখালী ৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর এমন মন্তব্য সমেত এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

 

এর জেরে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে। সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশ কখনো চিন্তাই করা যায় না। যারা বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশ চিন্তা করে, তারা আর যাই হোক আওয়ামী লীগের লোক হতে পারে না।

 

তিনি বলেন, সাংসদ একরামুলের বক্তব্যে এটি স্পষ্ট যে, তিনি প্রকারান্তরে স্বাধীনতাবিরোধীদের সমর্থক । এজন্য তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তা শনিবার দুপুরে ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী

 

ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের সময় ধারণ করা বলে জানা গেছে। এ সময় উপস্থিতরা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দেন। এর বিপরীতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি ৩০০ দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী ও নগদ ৪০ হাজার অর্থ সহায়তা বিতরণ করেন।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করা হয়েছে। আমি বলেছি, ট্রাস্ট একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। জয় বাংলা বলবেন, জয় বঙ্গবন্ধু বলার দরকার নেই। এ ট্রাস্টে সব দলের লোক আছে। সবাইতো জয় বঙ্গবন্ধু বলবে না। কেননা জয় বাংলা রাষ্ট্রীয় স্লোগান, জয় বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় স্লোগান নয়।

নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে একরামুল করিম চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ৮৭ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে। আর দুই যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন এবং নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্লাহ খানকে।

বঙ্গবন্ধু বলার দরকার নেই, জয় বাংলা বলবেন’ একরামের ভিডিও ভাইরাল।

আপডেট: ১১:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু বলার দরকার নেই, জয় বাংলা বলবেন’— নোয়াখালী ৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর এমন মন্তব্য সমেত এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

 

এর জেরে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে। সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশ কখনো চিন্তাই করা যায় না। যারা বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশ চিন্তা করে, তারা আর যাই হোক আওয়ামী লীগের লোক হতে পারে না।

 

তিনি বলেন, সাংসদ একরামুলের বক্তব্যে এটি স্পষ্ট যে, তিনি প্রকারান্তরে স্বাধীনতাবিরোধীদের সমর্থক । এজন্য তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তা শনিবার দুপুরে ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী

 

ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের সময় ধারণ করা বলে জানা গেছে। এ সময় উপস্থিতরা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দেন। এর বিপরীতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি ৩০০ দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী ও নগদ ৪০ হাজার অর্থ সহায়তা বিতরণ করেন।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করা হয়েছে। আমি বলেছি, ট্রাস্ট একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। জয় বাংলা বলবেন, জয় বঙ্গবন্ধু বলার দরকার নেই। এ ট্রাস্টে সব দলের লোক আছে। সবাইতো জয় বঙ্গবন্ধু বলবে না। কেননা জয় বাংলা রাষ্ট্রীয় স্লোগান, জয় বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় স্লোগান নয়।

নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে একরামুল করিম চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ৮৭ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে। আর দুই যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন এবং নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্লাহ খানকে।