০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’ সমাপ্ত।

  • নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৬:৫৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২
  • ১০০০

নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’ সমাপ্ত

 

নোয়াখালী প্রতিনিধি-

নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’। শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপপ্তি টানা হয়।

এর আগে ‘কেমন নোয়াখালী চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক, উন্নয়নকর্মী ও নাগরিক অধিকারকর্মীরা তাদের ভাবনা তুলে ধরেন।

উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিভন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সমাপনী দিন পুরস্কার বিতরণ করেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান।

বৃহস্পতিবার উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী এমপি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর নোয়াখালী মুজিব বাহিনী প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত।

উৎসবে অভিবক্ত নোয়াখালী জেলার অংশ ফেনী এবং লক্ষীপুর জেলা থেকেও নানা শ্রেণি পেশার নানা বয়সী মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

উৎসস্থল নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টলে নোয়াখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে প্রকাশিত বই এবং নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পন্যসামগ্রী প্রদর্শণ করা হয়।

নোয়াখালীর আদি নাম ভুলুয়া। ১৭৭৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গোটা বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করে। এর মধ্যে ভুলুয়া নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ত্রিপুরা নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮২২ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।

বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনও বৃহত্তর নোয়াখালী নামে পরিচিত।

নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’ সমাপ্ত।

আপডেট: ০৬:৫৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’ সমাপ্ত

 

নোয়াখালী প্রতিনিধি-

নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’। শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপপ্তি টানা হয়।

এর আগে ‘কেমন নোয়াখালী চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক, উন্নয়নকর্মী ও নাগরিক অধিকারকর্মীরা তাদের ভাবনা তুলে ধরেন।

উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিভন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সমাপনী দিন পুরস্কার বিতরণ করেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান।

বৃহস্পতিবার উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী এমপি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর নোয়াখালী মুজিব বাহিনী প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত।

উৎসবে অভিবক্ত নোয়াখালী জেলার অংশ ফেনী এবং লক্ষীপুর জেলা থেকেও নানা শ্রেণি পেশার নানা বয়সী মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

উৎসস্থল নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টলে নোয়াখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে প্রকাশিত বই এবং নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পন্যসামগ্রী প্রদর্শণ করা হয়।

নোয়াখালীর আদি নাম ভুলুয়া। ১৭৭৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গোটা বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করে। এর মধ্যে ভুলুয়া নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ত্রিপুরা নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮২২ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।

বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনও বৃহত্তর নোয়াখালী নামে পরিচিত।