নোয়াখালীতে ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে ৪১৮টি ঘর হস্তান্তর

বিশেষ প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে চতুর্থ পর্যায়ে আরও ৪১৮টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল ও সেনবাগ উপজলাকে গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের কাচিহাটা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

 

জানা গেছে, জেলায় মোট ভূমিহীন পরিবার রয়েছে ৬ হাজার ২৭৮ জন। যার মধ্যে চারটি পর্যায়ে তিন হাজার ৫৭২টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে আজ জেলার সদর, বেগমগঞ্জ, চাটখিল ও সেনবাগ উপজেলায় আরও ৪১৮টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হলো। যার মধ্যে ১০৩টি গৃহ ও ৩১৫টি ব্যারাক রয়েছে।

 

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে পুরো আশ্রয়ণে আনন্দের জোয়ার বইছে। প্রতিটি ঘর সাজিয়েছেন বাসিন্দারা। তাদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আমরা ৩ হাজার ৫৭২টি গৃহ নির্মাণ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করেছি। প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি বেড রুম, টয়লেট, রান্নাঘর, ও একটি বারান্দা। ঘর ও আশপাশের জমি মিলিয়ে দুই শতক জমি দেওয়া হবে ভূমি ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে। টিনশেডের এই ঘরে একটি পরিবার স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারবে। ঘর দেওয়ার জন্য উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আমরা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করেছি। যারা প্রকৃত ভূমিহীন তারাই এই সুবিধার আওতায় এসেছেন।

 

এ সময় নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।