রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিদের্শের পর বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু হয়েছে। ইউক্রেনও রাশিয়ায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলায় উভয় পক্ষের ৯০ সেনাসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে গণমাধ্যমগুলো।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পুতিনের নির্দেশের পরপরই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির অন্যান্য শহরে নানামুখী হামলা চালায় রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এতে ইউক্রেনের অন্তত ৪০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির ওডেসসা অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৮ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

অপরদিকে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার অন্তত ৫০ সেনাকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে। রাশিয়ার স্থল সেনারা বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ইউক্রেন ভূখণ্ডে ঢোকার পরই এমন দাবি করেছে কিয়েভ। এর আগে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রাশিয়ার হামলায় তাদের ৮ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।

খবরে বলা হচ্ছে, ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বে রুশ নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে রুশ সাঁজোয়াযান ঢুকছে ইউক্রেনে। ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষীরা এ সংক্রান্ত ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া খারকিভ, লুহানস্ক ও শেরনিহিভ এলাকা দিয়েও রাশিয়া স্থলবাহিনীর বহর ইউক্রেনের সীমানায় ঢুকে যাচ্ছে।

এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কি দেশজুড়ে মার্শাল ল জারি করেছেন। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বিজয়ের শপথও করেছেন জেলেনস্কি।

তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওপর রাশিয়া হামলা শুরু করেছে। তাদের আগ্রাসন রুখতে দেশের মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে বরং রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়ার পর ওই ভিডিও বার্তা দেন জেলেনস্কি।

অপরদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত দেশটির সামরিক সদরদপ্তরে চালিয়েছে রাশিয়া। পুতিনের সামরিক বাহিনীর হামলায় কিয়েভে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় শহর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাতে শুরু করেছে মানুষ।