আবার আলোচনায় সাকিব! নাহ, এবার আর নিজে কথা বলে নয়। তার দেয়া চিঠির কথা জানিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে জানিয়ে দিলেন, সাকিব নাকি আগামী ৬ মাস আর কোন টেস্ট ম্যাচ খেলবেন না?

প্রসঙ্গতঃ সপ্তাহ দুয়েক আগেও শোনা গেছে যে, সাকিব শ্রীলঙ্কায় খেললেও দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলবেন না। কারণ, ওই সময় আইপিএল রয়েছে। তবে, তাকে যেহেতু আইপিএলের কোনো ক্লাব নেয়নি, সে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল ছিল।

কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে এই অলরাউন্ডার নাকি আগামী ৬ মাস কোন টেস্ট ম্যাচেই অংশ নিতে চান না এবং বিসিবি সভাপতির ভাষ্যমতে সাকিব আগেই চিঠি দিয়ে তা জানিয়েও রেখেছেন।

এখন প্রশ্ন হলো সাকিবের টেস্ট খেলা নিয়ে খোদ বিসিবি থেকেই দু’রকম ভাষ্য মিলেছে। একবার বলা হলো সাকিব শ্রীলঙ্কায় খেলে আইপিএল খেলতে (তখনও নিলাম হয়নি) চলে যাবেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় ২ টেস্টের সিরিজ খেলবেন না।

এখন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, নাহ! আগামী ৬ মাস সাকিব কোন টেস্টই খেলবেন না। আসলে ঘটনাটা কী?

বিসিবি সভাপতি নিশ্চয়ই না জেনে এবং সাকিবের চিঠি না দেখে এমন কথা বলেননি! তারপরও এসব দাপ্তরিক বিষয় যেহেতু বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন পরিচালনা করেন। তাই সাকিবের আগামী ৬ মাস টেস্ট না খেলতে চাওয়ার আবেদন নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

জাগো নিউজের সাথে মুঠোফোন আলাপে বিসিবি প্রধান নির্বাহীকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া হয়, বোর্ড সভাপতি যেভাবে বললেন যে সাকিব নাকি আগামী ৬ মাস টেস্ট না খেলার আবেদন করে বোর্ডে চিঠি দিয়েছেন? ব্যাপারটা কি সে রকম?

বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজমাউদ্দীন চৌধুরী সুজনের জবাব, বোর্ড প্রেসিডেন্ট যখন বলেছেন, তখন ন্শ্চিয়ই ধরে নিতে হবে এমন চিঠি সাকিব দিয়েছেন। না দিলে তো আর বোর্ড সভাপতি এমন কথা বলতেন না।

তার মানে কী সাকিব শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা- কোথাও টেস্ট খেলবেন না? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘না না, এটাতো অনেক আগের কথা। এখন এগুলোই শেষ কথা নয়। দিস আর নট দ্য ফাইনাল ওয়ার্ড।’

যেটা বলা হচ্ছে সেটা অনেক আগের কথা। তারপর কেটে গেছে বেশ কিছু সময়। প্রেক্ষাপট ও দৃশ্যপটও পাল্টেছে। এটাকে ধরে এখন আর চূড়ান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেয়ার অবকাশও নেই।

সাকিব যেহেতু আইপিএল খেলছেন না, তাহলে এত দীর্ঘ সময় টেস্ট না খেলার পূর্ব সিদ্ধান্ত কি এখনো বহাল থাকতে পারে? এ প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সিইওর শেষ কথা হলো, ‘পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে হয়তো বিষয়টি সাকিব নিজেই পুনর্বিবেচনা করবেন। হয়ত এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা হবে। তারপর বলা যাবে শেষ পর্যন্ত কী হবে? তবে এখন আর ওই চিঠির কোনো মেরিট নেই।’